আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারে, মাধ্যমিক ধাপে ধাপে

'শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে''শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে'

শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা যাবে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে । ৫ শতাংশে না নামলেও সমস্যা হবে না সে ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণের হার। সে ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে খুলে দেওয়া হত পারে তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেহেতু টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, । তখন ধাপে ধাপে খোলার চেষ্টা করা হবে আর মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখনই খোলা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন । তবে তিনি বলেছেন, এ সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি এবং টিকা দেওয়ার ওপর ।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে । গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে । এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী । প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের । আর পরীক্ষাগুলো বাতিল বা পিছিয়ে যাচ্ছে । এসবের মাধ্যমে তা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে করোনার এমন বাস্তবতায় বিকল্প উপায়ে টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো শ্রেণিকক্ষে যেভাবে পড়াশোনা হতে । আবার সবাই এসবের সুবিধাও পাচ্ছে না। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ শেষে এখন প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরে ।

এমন পরিকল্পনা আছে কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি সংক্রমণের হার একেবারে কমে আসে, সে ক্ষেত্রে হয়তো সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে খুলে দেওয়া যেতে পারে কবে, কোন স্তরের প্রতিষ্ঠান খোলা হবে নি আর যদি সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে, সে ক্ষেত্রে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা পেয়ে যাবেন, সে ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় আগে খুলে দেওয়া হতে পারে। আর মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যখনই খোলা হবে, পরিকল্পনা আছে সবাইকে একবারে না এনে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করা হবে। দীপু মনি বলেন, যেকেনো সময়ে সব পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আছে। এখন বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনার পরিস্থিতি কখন, কী রকম দাঁড়ায়, তার ওপর। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শতকরা ৫ ভাগ বা তার কম সংক্রমণ হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। সেটি যেমন মাথায় রাখা হচ্ছে, একই সঙ্গে যেহেতু এখন টিকা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি টিকার আওতায় নিয়ে আসা যায়, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ একেবারে শতকরা ৫ ভাগে না নামলেও একটা যথেষ্ট পরিমাণে নিচে নামলেই হয়তো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা যাবে।

দীপু মনি আরও বলেন, ‘গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। যদি এ বছরও একই রকম অবস্থা হয়, তাহলে আমরা এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব ইনশা আল্লাহ। সে রকম চিন্তা করেই পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও সে ক্ষেত্রে খুলে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। কিন্তু এ সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।’

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *