মোঃ লোটাস আহম্মেদঃ ৬ মাস আগে এক কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় মূল অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণ হওয়া কিশোরীকে।
গত সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী তিন রাস্তার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক খুরশীদ আলম। গ্রেপ্তার ওই অপহরণকারী হলো, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বারোপাইকারগড় গ্রামের আজিমুদ্দীনের ছেলে রুহুল আমিন (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার আবিরেরপাড়া গ্রামের আমাজ্জল হোসেনের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে আনজেদা খাতুন। সে ওসমানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধায় নিজ গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তা থেকে আসামী রুহুল সহ আরো ২ জন আনজেদা খাতুনকে জোর করে মোটর সাইকেলে তুলে নেয়। পরে আনজেদা চিৎকার করলে আসামী তার শরীরে থাকা ওড়না মুখের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে অপহরণ করে।
এ ঘটনায় নিজেরা দীর্ঘদিন মেয়েকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারী ঘোড়াঘাট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে।মামলার বাদী এবং অপহরণ হওয়া ওই কিশোরীর বাবা আমাজ্জল হোসেন জানান, আসামী রুহুল আমিন দীর্ঘদিন থেকে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্তক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামী রুহুল বিভিন্ন মাধ্যমে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে তার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তারা বিয়ে অস্বীকৃতি জানায়।
এরপর থেকেই আসামী রুহুল সহ তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার সহযোগীরা তার মেয়েকে ও তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, মামলা করার পর থেকেই আমরা ভিকটিম উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার তৎপরতা চালাচ্ছিলাম।
অবশেষে প্রযুক্তির সহযোগীতায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে সোমবার সন্ধায় সাভার এলাকার একটি বাড়ি থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,এছাড়াও একই বাড়ি থেকে ভিকটিম কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামী মেয়েটিকে অপহরন করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। বিয়ে করার পর থেকে তারা ঢাকাতেই অবস্থান করছিল। আসামী আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।