‘অপরাজেয়’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুদ্ধপরিস্থিতি। এরই মধ্যে ‘জিরকন’ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘অপরাজেয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আজ শনিবার ব্যারেন্টস সাগরে অবস্থান করা অ্যাডমিরাল গ্রোশকভ যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া হয়। সেটি এক হাজার কিলোমিটার দূরে শ্বেতসাগরে একটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।

 

এর আগেও অবশ্য পরীক্ষামূলকভাবে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। প্রথম এ ধরনের পরীক্ষা চালানো হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। পুতিনের ভাষায়, সেটি ছিল রাশিয়ার জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’। এরপর একাধিকবার যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া হয়।

জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শব্দের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি গতিতে যায়। আর এর সর্বোচ্চ এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে।

জিরকন ছাড়াও ‘কিনঝাল’ নামে রাশিয়ার হাতে একধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কিনঝাল অর্থ ছুরি। গত মার্চেই ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করে রাশিয়া। পুতিনের ভাষায়, রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘অপরাজেয়’।

পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাতরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহরের মধ্যবর্তী সড়কে সশস্ত্র পাহারায় ইউক্রেনের এক সেনা। দোনেৎস্ক অঞ্চল, ইউক্রেন। ২৮ মে ২০২২
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলোর অন্যতম। ২০১৮ সালে এ অস্ত্র প্রথম সামনে আনে পুতিন সরকার। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উচ্চ গতি ও ভূমির কাছ দিয়ে চলাচলের সক্ষমতার কারণে সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শনাক্ত ও ধ্বংস করা তুলনামূলক কঠিন।

Leave a Comment