সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশের স্বাস্থ্য খাতে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল দিনে ১০০ থেকে ১২০ টন করোনার সংক্রমণের আগে । তাই এই সময় আমদানির প্রয়োজন হতো না ।তবে চাহিদা বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হয় ।চাহিদা সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২২০ টনে পৌঁছায় চলতি এপ্রিলের শুরুতে দিন গুলো হতে । তবে এখন এটি কমে ১৪০ থেকে ১৫০ টনে দাঁড়িয়েছে। আর এখন পর্যন্ত সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়নি বলে জানা যায়।
তাঁদের দুটি কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতা দিনে ৯০ টন আর এটি লন্ডনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান এমন টা । তবে চাহিদা বাড়ার পর ভারতে অবস্থিত লিন্ডের কারখানা থেকে তাঁরা অক্সিজেন এনেছেন বলে জানান ।কোম্পানি দিনে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ টন পর্যন্ত আমদানি করে ছিলেন । তবে সব মিলিয়ে দিনে ১১০ থেকে ১২০ টন পর্যন্ত সরবরাহ করেছেন তাঁরা। আর আমদানি করা তরল অক্সিজেন এখনো মজুত আছে তাঁদের কাছে বলে জানা যায়। আর তাই এখন দিনে ৯০ টনের কিছু বেশি সরবরাহ করছে লিন্ডে। আর সরকারি নির্দেশে শিল্পে সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন তাঁরা।
সর্বোচ্চ চাহিদার সময় দিনে ৫০ টনের বেশিও সরবরাহ করেছেন তাঁরা আর এটা স্পেকট্রা একজন জ্যেষ্ঠ অক্সিজেনের কর্মকর্তা এই বিষয় জানান । এখন দিনে ২০ টনের মতো সরবরাহ করছেন আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারণে দেশেটি । তবে আর নতুন একটি কারখানায় উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। দিনে আর ৩০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে স্পেকট্রা জুনের শেষ দিকে এটি চালু হলে।
ইসলাম অক্সিজেন কোম্পানির দিনে ৪০ টনের মতো অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষমতা আছে । তবে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ৩০ টন উৎপাদন করতে পারে তারা। তবে দিনে ৫০ টনের মতো সরবরাহ করেছে তারাও ভারত থেকে আমদানি করে। আর ২০ টন আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে । আর এখন ৩০ টন দিচ্ছে প্রতিদিন। আর কারখানা সম্প্রসারণের জন ব্যাংকের কাছে অর্থায়ন চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আর দেশের তিনটি বড় অক্সিজেন সরবরাহাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, যে ভাগ্য খুবই ভালো। আর সংক্রমণ কমার মধ্যে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ হয়েছে। তবে ভারতের সংক্রমণ পরিস্থিতি খুব খারাপ। এখন অক্সিজেন নিচ্ছে দেশটি বিভিন্ন দেশ থেকে। তাঁরা আর বলেন যে, দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে দিনে গড়ে সাড়ে তিন টন অক্সিজেন লাগে জানায়। আর তাই দেশে উৎপাদন বাড়ানো দরকার। আর তিনটি প্রতিষ্ঠান চরম চাপের মধ্যে কাজ করছে এমন টাই বলে। আর কোনো একটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেই সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ফরিদ হোসেন মিয়া রংপুর ডেইলীকে জানায় যে, কোথাও অক্সিজেনের ঘাটতি নেই, সরবরাহ নিয়ে কোনো অভিযোগও আসেনি তাদের কাছে। আর রোগীর চাপ কমায় অক্সিজেনের চাহিদাও কমেছে। তবে এ ছাড়া ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় রেখে খুব শিগগির শিল্প অক্সিজেন তৈরির কারখানার সঙ্গে বসে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে জানা যায়।
দেশে তরল অক্সিজেন উৎপাদনের ঘাটতি থাকলেও গ্যাসীয় অক্সিজেনের ঘাটতি নেই এমনটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছেন । তবে ভারত থেকে তরল অক্সিজেন আমদানি করা হতো। আর এটি হাসপাতালের বড় ট্যাংক থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। তবে আর গ্যাসীয় অক্সিজেন সিলিন্ডারে সরবরাহ করা হয় বলে জানায়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে সিলিন্ডারে করে সংকট মেটানো যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।