পুরো সময় ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের । তবে নীতিসুবিধার কারণে ওই সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও কেউ খেলাপি হননি । তবে এখন এই বিশেষ সুবিধা বহাল না রাখলেও ঋণ পরিশোধে কিছুটা ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এরপরও ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাদের । আর তাতেই ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা ।
গত মার্চে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। গত জুনে যা বেড়ে হয়েছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চের তথ্য অনুযায়ী । ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা গত বছরের জুনে খেলাপি ঋণ ছিল । দুই হাজার ৪৮ কোটি টাকা ফলে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে । তিন হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ।
গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ ছিল ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী । তবে এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা । তবে সেই হিসাবে ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ খেলাপি ছিল । ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ গত জুনে যা বেড়ে হয়েছে ।
ব্যাংকাররা আর বলছেন, দেশে নথিপত্রে খেলাপি ঋণ যত দেখানো হয়, প্রকৃত চিত্র তার চেয়ে তিন গুণ বেশি । তবে অনেক গ্রুপের ঋণ আদায় না হলেও বছরের পর বছর খেলাপি করা হয় না । আর একই ঋণ বারবার পুনঃ তফসিল করে ঋণ নিয়মিত রাখা হয় । বাংলাদেশে খেলাপি আড়াল করে রাখা আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে একটি রিপোর্টে বলেছিল । তবে এখানে খেলাপি ঋণের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়, প্রকৃত খেলাপি ঋণ তার তুলনায় অনেক বেশি । আর তাদের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ হবে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।