রাতে শিয়াল ধরে দিনের বেলায় জবাই করেছিলেন বেলাল হোসেন। তারপর প্রতি কেজি মাংস দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন। পরে ক্রেতা সেজে চট্টগ্রামের বন বিভাগের কর্মকর্তারা কিছু মাংসসহ বেলালকে আটক করে।
শনিবার বিকেলে নগরের বন একাডেমি–সংলগ্ন হিল ভিউ আবাসিক এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, গত শুক্রবার রাতে বন একাডেমি–সংলগ্ন বন থেকে কয়েক ব্যক্তি শিয়ালটি ধরেন। পরে রাতেই সেটিকে বেলালের দোকানে জবাই করেন তাঁরা। সকাল থেকে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার সময় বেলালকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বন বিভাগ জানায়, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী বন আদালতে বেলালের নামে মামলা হয়েছে। বন্য প্রাণী বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। হিল ভিউ আবাসিক এলাকায় একটি পোলট্রি দোকান চালাতেন বেলাল। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে আরও পাঁচজনের নাম বলেছেন তিনি। তাঁদের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হলেও তাঁরা এখন পলাতক।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে গিয়ে দেখি, তাঁরা দুই হাজার টাকায় প্রতি কেজি শিয়ালের মাংস বিক্রি করছেন। এ সময় বেলালকে হাতেনাতে আটক করা হয়।’
এ বিষয়ে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন একাডেমির পাহাড়ে অনেক শিয়াল রয়েছে। বেলালসহ অন্যরা সেসব শিয়াল ধরে বিক্রি করছিলেন। মানুষের ধারণা, শিয়ালের মাংস খেলে রোগ ভালো হয়।