আজকাল অনেকেই অনলাইনে আয় করার স্বপ্ন দেখান। ফেসবুকে, ইউটিউবে নানা ধরণের হাইপ ভিডিও বানিয়ে বলেন – “দেখুন আমি কিভাবে ১ দিনে ১ লাখ টাকা আয় করলাম!” কিন্তু আসল সত্যটা হলো – এরা নিজেরা কোনো অনলাইন কাজ থেকে টাকা আয় করে না, এদের মূল ইনকামের উৎস হলো কোর্স বিক্রি করা।
🔍 এদের মূল কৌশল কী?
১. প্রথমে ইউটিউব বা ফেসবুকে কিছু flashy ভিডিও বানায়।
২. ভিডিওতে বলে – “আমি বিগত ৮ বছরে অনেক সফল হয়েছি, এখন তোমাদের শেখাবো।”
3. তারপর হাজার হাজার টাকার কোর্স অফার করে — “মাত্র ৩০ দিনে লাখ টাকা ইনকাম গ্যারান্টি!”
কিন্তু যখন মানুষ এই কোর্সে জয়েন করে, তখন বোঝে –
❌ কোর্সে কাজের কিছু নেই।
❌ বাস্তব আয় করার কোনো গাইডলাইন নেই।
❌ অনেক কিছুই শুধু কথা — বাস্তবতা নেই।
🚫 এদের মূল ইনকাম আসে কোর্স বিক্রি থেকেই, অনলাইন টাস্ক বা ফ্রিল্যান্সিং করে নয়।
🎯 তারা সফল না, তারা শুধু সেলস এক্সপার্ট।
তাদের কাজ হলো মানুষকে লোভ দেখিয়ে ভিডিও বানানো আর বিজ্ঞাপন চালানো — যেন আরও মানুষ প্রতারিত হয়।
🛑 সতর্কতা:
আপনি যদি সত্যিকারের অনলাইন কাজ শিখতে চান, তাহলে প্রকৃত স্কিলড মানুষদের কাছ থেকে শেখুন। যাচাই করে নিন তারা নিজেরা কাজ করে কিনা।
💡 মনে রাখুন —
“যে নিজেরা অনলাইনে আয় করতে পারে না, সে আপনাকে কীভাবে শেখাবে?”
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। যেন আপনি কারো ইনকামের টার্গেট না হন।
📌 শেয়ার করুন এই বার্তাটি — যাতে আর কেউ প্রতারিত না হয়।
আপনি কি চান, এই আর্টিকেলটি ইনফোগ্রাফিক বা পোষ্টার আকারে ডিজাইন করে দিই শেয়ার করার জন্য?
🛑 শতকোটি টাকার প্রতারণা: ফাহমিদ আল নাঈম ও তাঁর “এজেন্সি কোর্স” প্রতারণার বাস্তব চিত্র
📣 সতর্কতা বার্তা: এই লেখা সকল বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জন্য
বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক কোর্স ব্যবসা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু প্রতারক নিজেদের মিথ্যা সফলতার গল্প দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনই একজন আলোচিত নাম ফাহমিদ আল নাঈম, যিনি একাধিকবার বড় আকারের ওয়ার্কশপ এবং কোর্স আয়োজন করে এখন পর্যন্ত ৬-৭ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে ধারণা করা হয়।
🎯 মিথ্যা আশ্বাসের ফাঁদ
প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ার্কশপে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন —
“১ দিনেই ১০ লাখ / ২০ লাখ টাকার সেল সম্ভব!”
এই লোভনীয় কথায় হাজার হাজার তরুণ ও তরুণী তাঁর ওয়ার্কশপে যুক্ত হয়। ওয়ার্কশপের নাম করে ২০০০+ সদস্য সংগ্রহ করেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে?
🔻 যারা এই কোর্সে যুক্ত হয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই আজ নিঃস্ব।
🔻 ক’জন সফল হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই।
🔻 ফলোআপ, সাপোর্ট কিংবা বাস্তব গাইডলাইন? শূন্য।
🔻 কোর্সের অর্ধেক কন্টেন্টই দেওয়া হয়নি।
🧠 ফাঁদে ফেলে দায় এড়িয়ে যাওয়া
তিনি শুধু একটি সাধারণ ওয়েবসাইট এবং কিছু কাঁচা কোর্স কন্টেন্ট দিয়ে নিজের দায় শেষ করেছেন।
❌ যারা প্রশ্ন করে বা ভিন্নমত পোষণ করে — তাদের পোস্ট সরিয়ে দেন।
❌ গ্রাফি প্ল্যাটফর্মে কোনো আলোচনা বরদাস্ত করেন না।
❌ ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও তাঁর প্রতারণা নিয়ে তৈরি হয়েছে — যেগুলোর বাস্তবতা অনেকেই এখন বুঝতে পারছেন।
🔥 নতুন কোর্স — আবারও প্রতারণার ছক!
বর্তমানে তিনি আবার একটি নতুন কোর্স এনেছেন:
“কম ইনভেস্টমেন্টে এজেন্সি তৈরি করে ৩০ দিনে ৫ লাখ টাকা ইনকামের চ্যালেঞ্জ।”
এই কোর্সে থাকা সিস্টেম:
✅ ১২টি লাইভ ক্লাস
✅ ১টি ফিজিক্যাল ক্লাস
✅ স্কিল না থাকলেও চলবে
এইসব প্রতিশ্রুতি নিছকই হাইপ তৈরি করে আবারও ফাঁদে ফেলা!
🚨 আমাদের করণীয়
আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদের উচিত এসব ভুয়া হাইপ, মিথ্যা হুক এবং ইউটিউবের নাটকীয় সেল ভিডিওতে বিশ্বাস না করা।
✅ নিজের স্কিল নিজে তৈরি করুন
✅ প্রমাণ ছাড়া কাউকে গুরু মানবেন না
✅ কোর্স কেনার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্র্যাক রেকর্ড ভালোভাবে যাচাই করুন
🏛️ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
আমি বাংলাদেশ সরকারের সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি —
এইসব ডিজিটাল প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনুন।
এই ধরনের প্রতারণা শুধু মানুষের টাকা নয়, তাঁদের স্বপ্নও ধ্বংস করে দেয়।
🙌 সকল বাংলাদেশি ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ —
আরও সচেতন হোন, নিজের পরিবার ও টাকা নিরাপদ রাখুন।
✍️ — নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, একজন প্রতারিত সদস্য