২০০৯ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৮ সালে সেখান থেকে জুভেন্টাস। স্পেন-ইতালি ঘুরে ১২ বছর পর সেই ম্যানচেস্টারেই ফিরে এসেছেন রোনালদো। সেটিও অনেক নাটকের জন্ম দিয়ে।
পুরো বিশ্ব জানত ইংল্যান্ডে ফিরতে যাচ্ছেন রোনালদো। তবে সেটি ম্যানচেস্টার সিটিতে। এক দিনের ব্যবধানে দৃশ্যপট বদলে যায়। নিজের ঘরে ফিরে আসেন রোনালদো। তাঁর নেওয়া এই সিদ্ধান্ত দারুণ হয়েছে বলেই মানেন রোনালদো।
কাল ইউনাইটেডের জার্সিতে রোনালদোর ‘দ্বিতীয়’ অভিষেকটাও হয়েছে দুর্দান্ত। একেবারে রোনালদো-ঢঙে। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে ৪-১ গোলের জয় এনে দিয়েছেন। ২০১৭ সালের পর শিরোপা না জেতা ইউনাইটেডকে আবার সাফল্য এনে দিতে চান রোনালদো। টেলিফুটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘এটা আমার নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত। এটিই ছিল সঠিক সময়। আমি ইতিহাস তৈরি করতে চাই। ম্যানচেস্টারকে ভালো ফলাফল এনে জিততে চাই ট্রফি।’
রোনালদো ম্যানচেস্টারে আসার কিছুদিন আগেই ইংলিশ ক্লাবটিতে নাম লিখিয়েছেন তাঁর সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ রাফায়েল ভারান। রোনালদোর সঙ্গে টানা সাত বছর রিয়ালে খেলেছেন ফরাসি এই সেন্টারব্যাক। রোনালদো জুভেন্টাসে যোগ দিলে দুটি পথ আলাদা হয়ে যায়। ম্যানচেস্টারে আবার রোনালদোর সঙ্গে মাঠে নামা ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা। ভারান বলেন, ‘সেরার সঙ্গে খেলতে পারাটা অনেক আনন্দের। ক্রিস্টিয়ানো খুবই পেশাদার, শারীরিকভাবে সে সর্বদা সেরা অবস্থানে থাকে। তার গোল করার সেরা গুণ আছে। সে এই দলে যা আনবে, তা হলো তার জেতার ইচ্ছা, তার জেতার মানসিকতা।’