রেশম কারখানা ঠাকুরগাঁও

রেশম কারখানা ঠাকুরগাঁও

কারখানা আছে। সরঞ্জাম আছে। কাঁচামালও দুর্লভ নয়। তারপরেও, সরকারী মালিকানাধীন ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বন্ধ ছিল। কারণ জনবল নেই। ক্রমাগত লোকসানের কথা বলে প্রায় দুই দশক আগে সরকার কারখানাটি বন্ধ করে দেয়।

সেখানে কর্মরত ১৩৪ জন শ্রমিকের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছিলেন, কিছু চাকরি পরিবর্তন করেছেন। হাজার হাজার রেশম কৃষক যারা এই কারখানায় রেশম সরবরাহ করতেন তাদের মধ্যে এখনও অনেকে কোকুন উত্পাদন পেশায় বেঁচে আছেন। আশাব্যঞ্জক খবরটি হ’ল সরকারী উদ্যোগে না হলেও কারখানাটি বেসরকারী উদ্যোগে আবার চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীও এতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। জেলা প্রশাসন, সিল্ক বোর্ড, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিনিময়রকরণ কারখানাটি বেসরকারীভাবে শুরু করতে সম্মত হয়েছে। সরকার কারখানাটি চালু করতে মেরামত করেছে। সরঞ্জামও ঠিক করা হয়েছে। এখন কারখানাটি এক ব্যবসায়ীকে মাসিক বা বার্ষিক ফির বিনিময়ে ইজারা ভিত্তিতে দেওয়া হবে। যেহেতু এর কাঁচামাল তুঁত উত্পাদন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অনেক কম, কারখানাটি চালু হলে, অঞ্চলে শাঁস চাষ বাড়বে এবং রেশম খাতে আলোড়ন সৃষ্টি হবে।

রেশম শিল্পের ভাল দিনগুলিতে ফিরে আসা সম্ভব হতে পারে। দেশের সিল্ক ফ্যাব্রিক উচ্চমানের এবং বিদেশে এর জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিল্ক শিল্পে একটি নতুন দৃষ্টি তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কারখানাটি যদি সত্যিকারের পেশাদার ব্যবসায়ীর হাতে না দেয়, তবে তা সবাইকে হতাশ করতে পারে। দেশের বাস্তবতার বিচার করে এই জাতীয় সরকারী মালিকানাধীন কারখানাগুলি সাধারণত ব্যক্তিদের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ক্ষমতার মানুষ হিসাবে পরিচিত। উত্পাদকে অগ্রাধিকার না দিয়ে কারখানা দেখিয়ে লোণ ও সরকারী প্রণোদনা অর্জন তাদের মূল লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে কারখানাটি সঠিক ব্যক্তির হাতে রয়েছে কিনা তা লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *