যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ওপর চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিলো চীন। কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা ও সংস্থার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ। 

সপ্তাহ খানেক আগে হংকং-এ দায়িত্বরত কয়েকজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনের দেওয়ায় তালিকায় সাবেক মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসের নামও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের চীন সফরের কয়েক দিন আগে এই পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বলা হয়, হংকংয়ের চলমান অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ এর হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে হংকংয়ের আইনি স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় চীন ব্যর্থতায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ সব কর্মকর্তারা চীনের হংকং অফিসের সঙ্গে জড়িত। তাদের সম্পদ জব্দ ও অন্যান্য জরিমানা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার অল্প সময় আগেই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেইজিংয়ের একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন বলিষ্ঠ ও জোরালো জবাব দেবে।”

এ দিকে শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হংকং-এর ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট করতে ভিত্তিহীনভাবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

মোট সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা বলে জানায় চীনা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছেন উইলবার রস। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় হুয়াওয়েই ও জেডটিই-সহ বেশ কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নিষিদ্ধের তালিকায় আরও রয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীনা পরিচালক সোফি রিচার্ডসন এবং ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশনের সভাপতি ক্যারোলিন বার্থোলোমিউ।

এ পদক্ষেপকে ‘নিস্ফল’ বলে উল্লেখ করেছে বাইডেন প্রশাসন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *