বাগেরহাটের শরণখোলার বড়মাছুয়া–রায়েন্দা ফেরিঘাট দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ফেরিতে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে খেয়াঘাটের ইজারদারের নির্দিষ্ট হারে টোল আদায়–সংক্রান্ত খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতাও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। বড়মাছুয়া আন্তবিভাগীয় খেয়াঘাটসংলগ্ন বড়মাছুয়া–রায়েন্দা ফেরিঘাটটি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের স্থাপিত ওই ফেরিতে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার নির্দিষ্ট হারে টোল আদায় করতে পারবেন বলে ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগীর কমিশনার সিদ্ধান্ত দেন।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শরণখোলার বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস ২৫ নভেম্বর রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে চঞ্চল কুমার বিশ্বাস নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিচুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।রুলে ফেরিঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে খেয়াঘাটের ইজারদারের টোল আদায়–সংক্রান্ত খুলনা বিভাগীর কমিশনারের ১৬ নভেম্বর দেওয়া সিদ্ধান্ত (স্মারক) কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারসহ ১০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, খুলনার বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ঘাটে পারাপারের ওই ফেরি স্থাপন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ফেরি দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ টোল আদায় করছে। এর মধ্যে ১৬ নভেম্বর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার সিদ্ধান্ত দেন যে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে টোল আদায় করতে পারবেন। ২০০৩ সালের হস্তান্তরিত ফেরিঘাটের ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভুত আয় বণ্টন সম্পর্কে নীতিমালা অনুসারে কেবল ফেরিঘাট হস্তান্তর হলে বিভাগীয় কমিশনার টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফেরিঘাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন। যে কারণে বিভাগীয় কমিশনারের ওই সিদ্ধান্ত আইনসম্মত হয় বলে রিটটি করা হয়।