মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে পড়ানোর বিধান

।।মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে পড়ানোর বিধান।।

প্রশ্ন-৩: জালালুদ্দীন মুহাক্কেকে দাওয়ানী রহ. এর মতানুযায়ী মেয়েদেরকে হাতের লেখা শিখা থেকে নিবৃত রাখাটা কতটুকু কল্যাণজনক? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তরঃ জালালুদ্দীন মুহাক্কিকে দাওয়ানী রহ. এর যুগে বর্তমান যুগের মতো না কোনও স্কুল কলেজ ছিলো আর না ফেতনা ফাসাদের সয়লাব ছিলো। তারপরেও তিনি তার যুগে মেয়েদেরকে হাতের লেখা শিখতে বারণ করেছেন। তাহলে বর্তমানের এই ফেতনা ফাসাদের যুগে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষা থেকে দূরে রাখা কতটা জরুরী হবে!

তথাপি তখনো মেয়েদের জন্য লেখা শিখা শিখানো থেকে নিবৃত থাকাটা কল্যাণজনক ছিল। তো বর্তমানের এই ফেতনা ফাসাদের যুগে সেই নিবৃত থাকাটা জরুরী। আর মেয়েদের প্রয়োজনীয় দ্বীনী মাসায়েল শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে কথা প্রথম জবাব থেকেই সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে ‘সেটি শুধু জায়েযই নয় বরং জরুরী’ তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত এই যে, সেখানে ফেতনার আশঙ্কামুক্ত, সম্পূর্ণ পর্দার সাথে শরীয়ত সম্মত পন্থায় হতে হবে।
(বাকীয়াতে ফাতাওয়া রশীদিয়া, মাসআলা নং- ৯৭৯, পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)

প্রশ্ন-৪: ছেলেদেরকে কী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যেতে পারে? এই জন্য কোন শর্ত আছে কি না?

উত্তরঃ ছেলেরা কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে স্কুলে কলেজে পড়তে পারেঃ—

◈ দুনিয়াবী শিক্ষা লাভ করতে যেয়ে তাদের কোনো জরুরী আমল নষ্ট না হওয়া,
যেমনঃ সালাত কাযা করা, সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত থেকে মাহরূম হওয়া, ফরয পরিমাণ ইলম না শিখা ইত্যাদি।

◈ তাদের নিয়ত থাকবে হালাল রিযিক উপার্জন ও দ্বীনের দাওয়াতের কাজ আঞ্জাম দেয়া।

◈ এ শিক্ষা লাভ করতে গিয়ে কোনো গুনাহের সাথে জড়িত না হওয়া,
যেমনঃ টাখনুর নীচে পাজামা প্যান্ট পরা, টাই লটকানো, দাঁড়ী মুন্ডানো, বিভিন্ন নেশায় জড়িত হওয়া, নভেল নাটকে অভ্যস্ত হওয়া, মেয়েদের সাথে বে-পর্দা দেখা সাক্ষাৎ করা বা তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করা ইত্যাদি।

◈ ইংরেজী সিলেবাসে যে-সব কুফুরী কথাবার্তা আছে তার থেকে নিজের দ্বীন ও ঈমানকে রক্ষা করার জন্য হক্কানী উলামাদের সুহবতে যাওয়া এবং ছুটির সময় তাবলীগে যাওয়া।

উল্লেখিত কোন শর্ত ভঙ্গ করলে তার জন্য দুনিয়াবী শিক্ষা অর্জন করা শরী‘আতের দৃষ্টিতে নাজায়িয।

– মুফতী রশীদ আহমাদ গাংগুহী রহ. সমর্থিত একটি ফাতওয়া

Leave a Comment