মেট্রোরেলের পাস পাওয়া যাবে যে সময়ে

মেট্রোরেলে চলাচলের জন্য ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস সংগ্রহের সময়সীমা জানাল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেট (ডিএমটিসিএল)। তারা জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে এমআরটি পাস সংগ্রহ করা যাবে।

ডিএমটিসিএল আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায়। এতে জানানো হয়, এমআরটি পাস সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের কার্ডের মূল্য বাবদ ২০০ টাকা, ব্যবহারযোগ্য ৩০০ টাকাসহ মোট ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি পূরণ করা এমআরটি পাস নিবন্ধন ফরম জমা দিতে হবে। এমআরটি পাস নিবন্ধন ফরম পাওয়া যাবে ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে।

 

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ গত বুধবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ থেকে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুযোগ হচ্ছে। প্রথম দিন ভোর থেকে লাইন ধরে মানুষ টিকিট কেটে মেট্রোরেল চড়ার অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।

মেট্রোরেলে কোনো কাগুজে টিকিট নেই। যাত্রীরা যেটি পান, সেটি একটি কার্ড। কার্ডটি ছোঁয়ালে (পাঞ্চ) মেট্রোরেল স্টেশনের তৃতীয় তলায় ওঠা যায়, যেখান থেকে ট্রেনে উঠতে হয়।

কার্ড দুই ধরনের। একটি স্থায়ী, অন্যটি এক যাত্রার। এক যাত্রার কার্ড ভ্রমণ শেষে রেখে যেতে হয়। স্থায়ী কার্ড যাত্রীর কাছে থাকে। এতে টাকা ভরে মেট্রোরেলে নিয়মিত যাতায়াত করা যায়। এই স্থায়ী কার্ড, এমআরটি পাস দেওয়ার জন্য সময়সীমা জানাল ডিএমটিসিএল।

মেট্রোরেল এখন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলছে। যাত্রাপথে এটি কোথাও থামে না। উত্তরা থেকে সরাসরি আগারগাঁও আসা–যাওয়া করে।

এমআরটি পাস নিতে যে ৫০০ টাকা লাগবে, তার মধ্যে ২০০ টাকা জামানত। কার্ড ফেরত দিলে এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। হারিয়ে ফেললে টাকা দিয়ে নতুন করে কার্ড কিনতে হবে। পুরোনো কার্ডে টাকা থাকলে তা অবশ্য নতুন কার্ডে যুক্ত হবে।

৫০০ টাকার বাকি ৩০০ টাকা ব্যবহারযোগ্য। মানে হলো, এই টাকা দিয়ে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন কার্ডধারী।

স্থায়ী কার্ড কেনার আগে নিবন্ধন করতে হবে। এর জন্য নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে। পাসপোর্টের নম্বর হলেও চলবে। এসব তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মিলতে হবে।

Leave a Comment