মিলছে না নির্ধারিত দরে, ভোগান্তিতে গ্রাহক

আরেক দফা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় সাধারণ গ্রাহকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। সীমিত আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি বাড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের। এছাড়া খুচরা দোকানে সংকট না থাকলেও বিক্রি হচ্ছে না সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে। এতে গত এক মাস ধরে সাধারণ গ্রাহকদের চরমভাবে নাজেহাল হতে হচ্ছে।

এদিকে রোববার বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে টানা তৃতীয় মাসের মতো দেশের বাজারে এলপিজির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এপ্রিলের জন্য প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা মার্চে ১১৫ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ফেব্রুয়ারিতে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা ছিল। নতুন মূল্যহারে রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ধরা হয়েছে ১৪৩৯ টাকা, যা মার্চে ১৩৯১ টাকা ছিল। এর আগের মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৪০ টাকা। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহক পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৪৫০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া গ্রিন হাউজ সমিতির বাসিন্দা খুরশিদা বেগম বলেন, প্রতি মাসে দফায় দফায় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে রান্নার ব্যয় বাড়ছে। ইতোমধ্যে সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ায় খুব নাজেহাল হতে হচ্ছে। সরকার সর্বশেষ ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৪৩৯ টাকা নির্ধারণ করলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। দেখার যেন কেউ নাই। কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া এলাকার খুচরা পর্যায়ে গ্রাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী সাফন এন্টারপ্রাইজের বাকের বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাম বাড়তির কারণে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেই এ দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে আমরা সার্ভিস চার্জসহ ১৪৫০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে। সে দরেই বিক্রি করতে হবে। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, বিক্রেতারা বেশি দরে বিক্রি করছেন। এজন্য একাধিক টিম মাঠ পর্যায়ে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় বেশি দরে বিক্রির অনিয়ম পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিলগালা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে। অনিয়ম পেলে দরকার হলে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হবে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির জন্য প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। সে সময় ১২ কেজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছর ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এ সংস্থা। এরপর থেকে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

Leave a Comment