সামাজিক যোগাযোগ মূলত করোনাকালের অনলাইনেই। তবে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন আছে,তেমনি আছে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের মতো বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ। তবে অনলাইন বলে কথা। আর সুবিধা যেমন, ঝুঁকিও তেমন। তাই বাড়িতি সতর্কতা না মানলে ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি যেমন ফাঁস হতে পারে, আবার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে বেহাত হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই আজ আমরা দেখব, কীভাবে ফেসবুকের বিজনেস অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানো যায়।
বিজনেস অ্যাকাউন্ট ফেসবুক পেজ পরিচালনায় ব্যবহার করা হয় । তবে সেটা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের পেজ হতে পারে, আবার ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার পেজও হতে পারে। আর বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজটাও করা হয় সেখান থেকেই। তবে স্বভাবতই অর্থকড়ির ব্যাপার জড়িত। সে কারণেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা আসছে । বিজনেস অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানো যেতে পারে নিচের সাতটি ধাপ অনুসরণ করে ।
১. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু
তবে দ্বিস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হলো টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (২এফএ)। তবে সুবিধাটি চালু থাকলে কোনো অপরিচিত ব্রাউজার বা মোবাইল ফোন থেকে প্রতিবার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে একটি অনন্য কোড দিয়ে অনুমোদন করতে হবে। আর চাইলে যখন-তখন ইনস্ট্যান্ট অ্যালার্ট চালু বা বন্ধ করা যাবে।
২. অ্যাকাউন্টে লগইন পর্যালোচনা করা
তবে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন সেটিংসে’র মাধ্যমে কোথায় কোথায় থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছে এবং নিজে অনুমোদন দেননি, এমন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করা হয়েছে কি না, তা দেখা যায়। এই সুবিধা পাশাপাশি টুএফএ চালু রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে এইচটিটিপুল। তবে এঅ্যাকাউন্টে অযাচিত লগইন হয়ে থাকলে স্বয়ংক্রিয় লগআউট নিশ্চিত করবে। আর মাঝেমধ্যে বিজনেস হেল্প সেন্টার থেকে ঘুরে আসুন। তবে বিশেষ করে আপনার বিজনেস ও বিজ্ঞাপনী অ্যাকাউন্টে কার প্রবেশাধিকার আছে, সেটা জানতে পারবেন।
৩. নিয়মিত বিজ্ঞাপনী ব্যয় যাচাই করা
বিলিংগুলো নিয়মিত মিলিয়ে দেখতে হবে বিজ্ঞাপন সচল থাকলে অ্যাকাউন্টের। যাতে করে বর্তমানের সব কার্যক্রম পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা যায়।
৪. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
তবে অনলাইনে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ফেসবুকে ব্যবহার করা উচিত না মোটেই। আর বিজনেস ম্যানেজার যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রত্যেককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
৫. লগইন–সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার না করা
ভুয়া ই-মেইল বা ওয়েবসাইট থেকে লগইন–সংক্রান্ত তথ্য চাইতে পারে নিকটজনদের নাম ব্যবহার করে । আর সেটা কল করে হতে পারে, এসএমএসে হতে পারে, আবার ই-মেইলেও হতে পারে। কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে সন্দেহ জনক মনে হলে । আর তথ্য ভাগাভাগির ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক।
৬. বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ
এডিশনাল সিকিউরিটি ফিচারস চালু করতে হবে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফেসবুক ব্যবহারকরীদের , তবে যেটাতে ইনস্ট্যান্ট লগইন নোটিফিকেশনস এবং অ্যাপ্রুভাল অপশন থাকবে।
৭. মাঝেমধ্যেই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা যাচাই করা
সিকিউরিটি চেকআপ টুল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে ফেসবুক সব সময় । আর যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে এবং বাড়তি নিরাপত্তা যুক্ত করতে পারেন। তবে নিজের অ্যাকাউন্টে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ হচ্ছে কি না, তা এই সেবার মাধ্যমে ব্যবহার করে জানা যেতে পারে।