প্রায় দুই বছর যাবত চলমান মহামারীতে দেশে প্রাণ হারালো সর্বমোট ২৩ হাজার ১৬১ জন। দেখতে দেখতে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। করোনা কেড়ে নিয়েছে কারো বাবা, কারো মা, কারো ভাই অথবা বোনকে, কেউ বা হারিয়েছে বাবা মা উভয়কেই।
দাদা দাদী, নানা নানী, এদেরকেও হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। যে মানুষ গুলো গত বছরই ছিলো আমাদের সাথে এবছর তারা ভয়াল করোনায় থাবায় চলে গেছে আমাদের ছেড়ে বহু দূরে। প্রতিদিনই আমরা কেউ না কেউ হারাচ্ছি আমাদের আপনজনদের, কাছের মানুষদের। কেউ জানেনা কবে কাটবে এই অন্ধকার সময়। কবে আমরা আবার বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবো।
বাংলাদেশের করোনার প্রকোপে বর্তমানে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার সর্বোচ্চ বিদ্যমান রয়েছে। জুলাই মাসে বলতে গেলে প্রতিদিনই দেশের মানুষ দেখেছে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৬১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনে। নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। কয়েকদিন ধরেই করোনা শনাক্তের হার ক্রমান্বয়ে কমছে। গত মাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকেই সংক্রমণের হার কিছুটা কমছে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৪১৬ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪২৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮২ লাখ ১২ হাজার ৪১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।