বাংলাদেশের পরীক্ষা পদ্ধতিতে একটা বিরাট পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার যেখানে বলা হয়েছে দশম শ্রেণির আগে শিক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসতে হবে না,তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা ও নেওয়া হবে না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনের এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি জানান,১.২০২৩ সাল থেকে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে না।২.প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না।তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না থাকার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলেই ‘শিখনকালীন মূল্যায়ন’ হবে।৩.চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ ভাগ নম্বরে ‘শিখনকালীন মূল্যায়ন’ হবে। বাকি ৪০ ভাগ নম্বরের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সামষ্টিক মূল্যায়ন’ হবে। এর বাইরের বিষয়গুলোতে সম্পূর্ণভাবে ‘শিখনকালীন মূল্যায়ন’ হবে।৪.নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ ভাগ নম্বরে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে। বাকি ৫০ ভাগ নম্বরে পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সামষ্টিক মূল্যায়ন’ হবে। অন্যান্য বিষয়ে ‘শিখনকালীন মূল্যায়ন’ হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধু দশম শ্রেণীর পাঠ্যক্রমের ওপর।৫.একাদশ শ্রেণির আগে বিজ্ঞনা, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ থাকবে না।অর্থাৎ বিভাগ বাছাইএর সুযোগ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুমোদনের পর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২৩ সাল থেকে দুই বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে সরকার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যক্রমের বই পাবে। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে নতুন বই পাবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে ২০২৫ সালে।