ঠিকানা

নিয়তির টানে নিঃশব্দ পথচলা,
বুঝে অনেক কিছু
না বোঝার ভান করা।
অফুরন্ত সুখ-নদীর
উচ্ছ্বাসিত পাল হওয়া।
ধুলোয় মোড়ানো শহরে
ধুলোতেই হামাগুড়ি দেয়া।
কোলাহল শেষে রাতের নির্জনতায়
রাত জেগে স্মৃতি গাঁথা।
মৃদুমন্দ বাতাসের হাতে
ইচ্ছেঘুড়ি তুলে দেয়া।
বন্ধ ঘড়ির কাঁটার কোণ
আলতো হাতে ছুঁয়ে দেয়া।
ডায়েরীর হৃদে কলমের খোঁচায়
হাজারো ক্ষোভের ঝড় তোলা।
টুপটুপ করে পড়া
বেদনার নোনাজলে
মাথার নরম বালিশের ভিজে যাওয়া।
ধোঁয়া ওঠা লাল চায়ের
স্বচ্ছ কাঁচের মগে
উদিত সূর্যের আছড়ে পড়া এবং
সেই মোহনীয় দৃশ্য উপভোগ করা।
বসন্তে পুষ্প কাননে মৌমাছির
গুঞ্জনে ভাল লাগান তান শোনা।
কোকিলের কুহুরবে চারদিক মাতিয়ে তোলা,
উত্তপ্ত সূর্যের তেজ কমে
গোধূলি লগ্নে মৃদ্যু সোনালি আভা
পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়া।
হিসেবের সময়গুলো বেহিসেবি
আলাপনে হারিয়ে ফেলা।

এসবই ঠুনকো তখন,
সাদা কাফন মোড়ানো শরীর
সাড়ে তিনহাত মাটির নীচে
বসত গড়বে যখন!

Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *