গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৬৫ কিলোমিটার। ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য। দেখে মনে হবে ব্যাপক বিধ্বংসী বোমায় বিধ্বস্ত একটি শহর।টর্নেডোতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিসৌরি, আরকানসাস, ইলিনয়, টেনেসি, মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য।সিএনএন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৮৪ জনের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একটি মোমবাতির কারখানায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশির।
টর্নেডোটি ওই কারখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানার পর সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।মেফিল্ড শহরের ওই কারখানাটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত কারখানাটি থেকে ৪০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।টর্নেডোতে উদ্ধারকর্মী সংস্থার যন্ত্রপাতি, পুলিশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে।কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেছেন, ‘টর্নেডোর আঘাতে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এ রকম দৃশ্য আমি কখনো প্রত্যক্ষ করিনি।’
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩৬৫ কিলোমিটার বেগের টর্নেডোটির গতিপথের যা ছিল সবই যেন উপড়ে গেছে, বলেন তিনি।কেন্টাকির এক অধিবাসী বলেন, ‘আমি ঘরের ভেতর থেকে বুঝতে পারছিলাম বাইরে কিছু একটা হচ্ছে। এটা ছিল বোমা বিস্ফোরণের মতো।’বিবিসি জানায়, অনলাইনভিত্তিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের একটি গুদাম ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে কেন্টাকির হাজার হাজার অধিবাসী।দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টর্নেডো আক্রান্ত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।