“জীবন প্রদীপ” কবিতাটি এক গভীর আবেগ ও যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরে, যেখানে প্রেম, বেদনা ও একতরফা অনুভূতির এক কঠিন বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে।
কবি কবিতা লিখতে চাইলেও পারেন না, কারণ তার সমস্ত লেখা, সমস্ত স্বপ্নই প্রিয়জনকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই প্রিয়জন কখনো তার অনুভূতিগুলোর মূল্য দেয়নি, বুঝতে চায়নি। অভিযোগ, রাগ, এবং মানসিক যন্ত্রণার মাঝে কবি নিজেকে ধীরে ধীরে নিঃশেষিত হতে দেখেন।
ভালো থাকার ভান করেও কবি ভিতরে ভিতরে কষ্টের আগুনে দগ্ধ হন। সুখের উষ্ণতা পাওয়ার আশায় বেদনার নীল চাদর জড়িয়ে নিয়েছেন, কিন্তু সে সুখ অধরাই থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত, জীবনের পথ হয়ে ওঠে অনিশ্চিত, সূর্যাস্ত ঘনিয়ে আসে, আর কবির “জীবন প্রদীপ” ধীরে ধীরে নিভে যায়।
এই কবিতাটি প্রেম ও যন্ত্রণার এক অনবদ্য মিশ্রণ, যেখানে একতরফা অনুভূতির গভীর বেদনা প্রকাশ পেয়েছে।
কবিতারা আসে না, আসে না কোনো পঙক্তি,
লিখার জন্য আমার হাত নিশপিশ করে
তবুও আমি লিখতে পারি না।
কেন বলো তো?
কারণ তুমি নেই।
তোমাকে ঘিরে যে আমার সব কবিতা,
তুমি তো কোনোদিন পড়েও দেখলে না,
জানলে না, তোমাকে নিয়ে আমার
সহস্র সাজানো স্বপ্নের কথা।
তোমার অভিযোগে আমি
নির্বাক তাকিয়ে থাকি,
তোমার রাগান্বিত কথার আগুনে
জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাই
আমি ভিতরে ভিতরে।
তোমার কষ্টের সঙ্গী হতে চেয়ে
অপমানিত হয়েছি, সহ্য করেছি
কত মানসিক যন্ত্রণা।
তবুও তোমাকে বুঝতে দেই না,
আর তুমি? তুমিও কখনো বুঝতে চাওনি।
ভালো থাকার নাটকে কি যে যন্ত্রণা!
বেদনার নীল আলোয়ান জড়িয়েছি কলেবরে
সুখের উষ্ণতা পাবার আশায়,
কোথায় সেই সুখ?
নিয়তির ভেলায় চলছি অবিরাম
ঠিকানা বিহীন বন্ধুর পথে
সূর্যাস্ত ঘনিয়ে আসে আর
আমার জীবন প্রদীপ নিভে।
Writer: Mahazabin Sharmin Priya