ঘন্টা হিসেবে মোটিভেশন বেচে বাংলাদেশেও

কিভাবে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়

আমেরিকানরা ঘন্টা হিসেবে মোটিভেশন বেচে। বাংলাদেশেও এক বাতিল প্রজন্ম তৈরী হয়েছে যারা মোটিভেশন নেয় এক ঘন্টার ক্লাস থেকে।


বই পড়বে না। সুকুমার বৃত্তির চর্চা করবে না। কেউ এসে তাকে পয়সা নিয়ে মোটিভেশনের বড়ি গেলাবে।
পিঠের কুঁজকে না সরিয়ে বলতে হবে, বাহ্ আপনি তো হাঞ্চব্যাক অব নটরডেমের নায়কের মতো দেখতে।
ক্যান্সার হলে বলতে হবে এটা ক্যান্সার কিন্তু অন্য ক্যান্সারের চেয়ে ভালো। বি পজিটিভ। আপনি অন্যদের চেয়ে তিনমাস বেশী বাঁচবেন।
পরীক্ষায় গোল্লা পেলে বলতে হবে থ্রি ইডিয়টস দেখতে।
নোয়াহ , গিলগামেশ যখন গ্রেট ফ্লাডের কথা বলেছেন তখন যদি এই মোটিভেশন এর লোকজন থাকতো তবে নোয়াহকে গিয়ে বলতো কি সব নেগেটিভ কথা, বন্যার পলিমাটির কথা বলেন। গিলগামেশ কে নিজের একটা পজিটিভ নাম রাখতে বলতো। গিল শুনতে কেমন যেনো লাগে।
এদের কাছে সলিল সমাধি হলো ওয়াটার স্পোর্টস এর সুযোগ।
এরা সঠিক কথাকে নেগেটিভ মনে করে।
শয়তানকে শয়তান বললে শয়তানের মন খারাপ হবে বলে, তারা শয়তানের পজিটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করে।
এদের নিজেদের কারণেই এরা অধিকার হারায়। এদের অধিকার কাউকে কেড়ে নিতে হয় না।
এরা অধিকারহীনতাকেই পজিটিভ মনে করে।
এদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।
এদের জন্যই দরিয়া দুভাগ হয়ে যায়। আর এরা সেখানে ডুবে মরে।
আগে এইগুলোর জন্য খুব মায়া হতো।
এখন থাবড়ায়া এদের দাঁত কয়টা সেটা মাটি থেকে তুলে গুনে দেখতে ইচ্ছা করে।

Abdun Noor Tushar

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *