খাদ্যের স্বাদ গ্রহণে জিহ্বার ভূমিকা

আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে,খাবার চাবানোর ক্ষেত্রে সহায়ক একটি অংশ হচ্ছে জিহ্বা।জিহ্বা মূলত মাংসল একটি অঙ্গ যা মিউকাস পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে।জিহ্বায় রয়েছে নানারকম অংশ।যেমন-
১.সামনের অংশ
২.পিছনের অংশ
৩.উপরের অংশ
৪.নিচের অংশ
৫.দুইটি পাশের অংশ

জিহ্বার সামনের অংশটি আমাদের ইনসিসর নামক দাঁতের সংস্পর্শে থাকে।
আর এর পিছনের অংশের সংস্পর্শে থাকে আলজিহ্বা।
জিহ্বার উপরের অংশ আবার দুই ভাগে বিভক্ত।সামনের দুই তৃতীয়াংশ আর পেছনের এক তৃতীয়াংশ। সামনের দুই তৃতীয়াংশে প্রচুর প্যাপিলা বা ছোট ছোট প্রবর্ধন থাকে।আমরা খালি চোখেই তা দেখতে পারি।
আর পেছনের এক তৃতীয়াংশ আবার তিন ভাগে বিভক্ত থাকে।
*মিউকাস
*সাবমিউকাস
*মাসল
এই অংশে লিঙ্গুয়াল টনসিল নামের প্রবর্ধন থাকে।
জিহ্বার নিচের অংশ মসৃণ এবং এখানে কোনো প্যাপিলা থাকেনা।

এবার স্বাদকুঁড়ির কথায় আসা যাক। Taste bud নামটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত।এই taste bud ই হচ্ছে স্বাদকুঁড়ি।জিহ্বার যে এপিথেলিয়াল কোষগুলো থাকে সেগুলোই স্বাদকুঁড়িতে পরিণত হয়।আর স্বাদকুঁড়িগুলো স্বাদ গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত।বিভিন্ন খাদ্য জিহ্বা স্পর্শ করার সাথে সাথেই আমরা যে সে খাবারের স্বাদ পাই,এর মূলে রয়েছে জিহ্বায় অবস্থিত স্বাদকুঁড়ি।এরাই খাবারের বিভিন্ন স্বাদ বুঝতে আমাদের সাহায্য করে।
স্বাদকুঁড়িগুলোতে তিন ধরনের কোষ থাকে।
১.গ্যাসটেটোরি কোষ
২.সহায়ক কোষ
৩.মূলীয় কোষ
স্বাদকুঁড়ির মূলের কাছে কিছু সংবেদী স্নায়ুতন্তু থাকে।এগুলোই মূলত খাবারের স্বাদ আমাদের মস্তিষ্কে নিয়ে যায় এবং ফলস্বরূপ আমরা সেই খাদ্যের স্বাদ বুঝতে পারি।

এই স্বাদকুঁড়িগুলোর কারণে জিহ্বার অগ্রভাগে আমরা মিষ্টি এবং লবণাক্ত স্বাদ,দুই পাশে টক স্বাদ এবং পেছনে তিক্ত স্বাদ অনুভব করতে পারি।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *