জেলার কালকিনির ভুরঘাটা মসজিদ বাড়ী এলাকায় নূর ক্লিনিকের ডাক্তার ও নার্সের ভুল চিকিৎসায় সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রেসমা আক্তার (২০) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত রেশমা কালকিনি উপজেলার বেইলিব্রীজ এলাকার ছত্তার খানের মেয়ে। স্বজনেরা অভিযোগ করেন নুর ক্লিনিকের ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার ফলে রেশমা মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, রেশমা প্রসব ব্যথা নিয়ে গত ১৫ দিন আগে নুর ক্লিনিকে গেলে সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে বাচ্চা ভাল নেই তখন সিজার করানোর কথা বললে রেশমার পরিবার সিজারের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সিজারের পরে রেশমা পেটে ব্যথা অনুভব করেছিল সেই সাথে অল্প অল্প রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এই সমস্যা নিয়ে রেশমা নুর ক্লিনিকে গেলে সিজার করার জাগায়টিতে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন করে আরও তিনবার সেলাই করে দিয়ে ছিলেন তারা। প্রথমে নার্স দিয়ে সেলাই কেটে আবার সেলাই করে দেয়। তাতেও কোন সমস্যা সমাধান হাওয়া কারণে আবারও ডিউটি ডিপ্লোমা ডাক্তার দিয়ে সেলাই কেটে পুনরায় সেলাই করে দিয়ে রোগীকে বরিশাল পাঠায়। সোমবার বরিশাল নেয়ার পথে রেশমা মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনার পরে ক্লিনিকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নিহতের ভাই ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করেন এ বিষয় নূর ক্লিনিকের মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক রোগীর লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, রোগীকে ক্লিনিকের ডাক্তার অন্য কোথাও উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ না দিয়ে নিজেরাই সেলাই কাটে আবার সেলাই করেন। এতে করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আমার বোন।
অভিযুক্ত ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগের জন্য ক্লিনিকে গেলে তাদেরকে তখন পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
