আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জ্বাল করার মামলায় দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইসমাইল হোসেন এই আদেশ প্রদান করেন। দিনাজপুর কোট পুলিশ পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, আজ ভাইস চেয়ারম্যান সোহাগ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকেলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৫২ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, গত বছর ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের পূর্বে নিজেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দাবী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অনুমতিপত্র নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সোহাগ। বিষয়টি নজরে আসলে গত বছরের ৮ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জাল করে দিনাজপুর জেলা কমিটিতে শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মরহুম সাব্বিরুল আহসান ছবির স্থলে নিজেকে উক্ত পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
সোহাগ গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সম্মুখে ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি সীলযুক্ত কাগজ প্রদর্শন করেন। মামলার বাদী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরটির বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজুর ফিজার এমপি ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেছেন “আমি জেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশ বা মতামত ছাড়া কাউকে অর্ন্তভূক্ত করার গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড করতে পারি না এবং এধরনের স্বাক্ষরিত কাগজ প্রদান করিনি। যদি সোহাগ এধরনের প্রদর্শন করে তবে ওই কাগজ সম্পূন্ন জাল বলে গণ্য হবে। তিনি বলেন, রবিউল ইসলাম সোহাগ নামে কাউকে আমি চিনি না”। এধরনের ভূয়া সীল-স্বাক্ষর যুক্ত কাগজ প্রদর্শন হয়ে থাকলে তিনি থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।