দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে পাচার হওয়ার একদিনের এর মধ্যে ঢাকার আশুলিয়া থেকে সোহাগী নামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের ১ নারী সদস্যসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে স্বল্প সময়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়েটির পরিবার। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মেয়েটির পরিবার।
গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাদের ২ পাচারকারী কে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন ফকিরের মেয়ে রোখসানা আক্তার (২০) ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আল আমিন (২৬)।
মেয়ের চাচা সোনা মিয়া বলেন, মামার বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে আমার ভাতিজির সাথে সম্পর্কে গড়ে তোলে রোখসানা। সে আমার ভাতিজিকে ফুসলিয়ে পাচার করার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। আমরা পরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগ করার ফলে আজ আমাদের ভাতিজিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব জানান, গত ১৬ আগস্ট সোহাগীর চাচা ঘোড়াঘাট থানায় এসে ভাতিজিকে পাচার করা হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশের একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়া নামক এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় পাচারকারী দলের দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে। আাজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে তাদেরকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।