ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০০টি বাক্সে করে ২ টন (২ হাজার কেজি) ইলিশ নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যায়। বাংলাদেশের রপ্তানিকারক বিডিএস করপোরেশন ইলিশগুলো রপ্তানি করেছে। মাছগুলো আমদানি করে আগরতলার বিদ্যা এন্টারপ্রাইজ।
আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিডিএস করপোরেশন ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১০ ডলার ধরা হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাছের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মোল্লা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোল্লা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল। চলতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথম চালানে ২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করা হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৫২ জন রপ্তানিকারককে ৪০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টনের মধ্যে ২ টন ইলিশ আগরতলায় রপ্তানি করা হয়েছে।আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা আছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ সরকার ত্রিপুরায় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। শুধু দুর্গাপূজার সময়েই এই ইলিশ রপ্তানি করা হবে। ইলিশ রপ্তানি করার মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।